শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪
সব কিছুই প্রেম
জুলাই ১৭, ২০২৪ তারিখে জার্মানিতে মেলানিকে সর্বশক্তিমানের সন্ধেশা
দলের নামাজের সময় বরকতময় মাতা মারি উপস্থিত হন এবং দর্শনী মেলানিকে আধ্যাত্মিকভাবে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যান।
ঈশ্বর দর্শনীকে একটি লম্বা ব্যক্তিগত সন্ধেশা দেয় এবং সাধারণ জনগণের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলতে চায়: সব কিছুই প্রেম!
আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি প্রত্যেক মানুষে আছে। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে ঈশ্বরী স্ফুলিঙ্গ এবং ঈশ্বরের প্রেম বহন করে।
যেমন রাজা, চ্যান্সেলর বা মাস্টার বেকার, ভিক্ষুক বা শিক্ষক। প্রত্যেক মানুষে ঈশ্বর কাজ করছে।
কিছু লোকের মধ্যে ঈশ্বরের স্ফুলিঙ্গ খুঁজতে বেশি সহজ। অনেকেই ভুলেছে যে ঈশ্বর তাদের মধ্যে বাস করে।
তবে, যেভাবে কাজ করছে তা নয়। তিনি সবার মধ্যে থাকেন।
কিন্তু ঈশ্বর শুধুমাত্র প্রত্যেক মানুষে নেই, বরং বিশ্বের সকল জায়গা এবং কিছুর মধ্যেও আছে।
তিনি সব কিছু তৈরি করেছেন। প্রত্যেক ব্যক্তি ও যাবৎ বিদ্যমান সমস্ত কিছুতে একটি স্ফুলিঙ্গ রয়েছে এবং এটি বৃহত্তর সম্পূর্ণতার অংশ।
বিশ্বে যা ঘটেছে বা হচ্ছে, কোনো বড় বা ছোট পরিস্থিতি, যেকোনো বিকাশ বা ঘটনা, তা কন্টিনেন্টের উপর অথবা ঘরে দুই মানুষের মধ্যে একটি ক্ষণিক সময়ে, বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় বা প্রধান ইতিবাচক বিকাশ - ঈশ্বর প্রকৃতপক্ষে সব কিছুতে আছে কারণ ঈশ্বর সৃষ্টি নিজেই।
আত্মার দৃষ্টিকোণ থেকে, সব কিছুই সমান মূল্যের। ঈশ্বর বিচারে না করে। কোনও কিছুর নিষেধ বা অনুমতি নয় যা ঈশ্বরের দ্বারা চাওয়া হয়নি।
কেননা সব কিছুই ঈশ্বর, প্রত্যেক ছোটো ভালো অথবা মন্দ বোধ, প্রত্যেক ভালো ও “খারাপ” কাজ। কোনও কিছুই দুর্ঘটনায় পড়ে না।
ঈশ্বর কে এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা বা নিষেধের সম্পর্কে অনেক বিভ্রান্তি আছে।
এটি সব জায়গাতেই ভিন্নভাবে বোঝা হয় এবং সর্বদাই ছিল।
জীবন ও আমাদের জীবনের আকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা পাওয়াকে ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও প্রেম মনে করা উচিত।
এটি তার প্রেম এবং স্বাধীনতা যা তিনি মানুষকে দেন।
জীবনের মূলত সমস্তই প্রেমে পরিপূর্ণ।
আর ঈশ্বর নবীদের বিশ্বে এভাবে আনা হয়েছে। সর্বদাই ছিল এমন লোকেরা যারা নবীগণের শব্দ ও সতর্কতা গ্রহণ করতে পারেছিল এবং তাদেরকে তা পাশাপাশি থাকা মানুষদের কাছে বিতরণ করার জন্য বলা হয়েছিল। কখনও কখনও তারা নির্দিষ্ট শহরে গিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে সতর্ক করা হতো।
নবীগণকে স্বর্গ থেকে মনের পরিবর্তনে উপদেশ হিসেবে বুঝতে হবে।
এই লোকেরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে, তারা ঈশ্বর হতে সতর্কতা এবং তথ্য পাঠিয়ে দেয়া। তারা বর্ণনা করেন যে যদি মানুষ তাদের মনে পরিবর্তন না করে তাহলে কী ঘটবে। সতর্ক করা হচ্ছে এবং নিজের কর্মফল সম্পর্কিত ভবিষ্যত দেখানো হলো ঈশ্বরের প্রেম।
এই কারণে লোকেরা যেন স্বেচ্ছায় তাদের পথ বেছে নিতে পারে, তাই নবীগণকে ঈশ্বরের সতর্কতা কথা বলতে পাঠানো হয়।
কিছু আত্মার আছে যারা এই উদ্দেশ্যে নিজেদের উপলব্ধ করে রাখে, এমনকি ঈশ্বর দ্বারা নির্দেশনায় বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষার্থে দেখাতে পারে যে কীভাবে এগুলো প্রতিহত করা যায়।
মানুষদের কর্মফলের পরিণামগুলি বর্ণনা করা হয় যেন তারা বড় দুঃখ হতে রক্ষা পেতে এবং তা প্রতিরোধ করতে পারেন।
সে আরও সুন্দর পথ দেখাতে চায়।
ঈশ্বর নেই কখনো শাস্তি দেবার বা বিচারের জন্য।